ব্যারাকপুর: মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে রাজ্যের মৎস্য জীবীদের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় মৎস্য দপ্তর পক্ষ থেকে কি ভাবে দ্রোনের ব্যবহার করা সম্ভব সেই সম্পর্কে একটি আলোচনা সভা ও মৎস্য জীবিদের জন্য ড্রোন ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশিয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র ব্যারাকপুরে। মূলত সুন্দরবন সহ রাজ্যের একাধিক প্রত্যন্ত এলাকায় মৎস্য জীবীরা কি ভাবে দ্রোন উড়িয়ে সহজেই মাছের চারা মাছ চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে, ড্রোনের সাহায্যে কি ভাবে কয়েক কেজি মাছ নির্ধারিত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব সহজেই নিয়ে যাওয়া হবে, কি ভাবে মাছ চাষের জন্য কেমিকেল ছড়ানো সম্ভব হবে সেই বিষয় গুলি এদিন বিভিন্ন ধরনের দ্রোন উড়িয়ে হাতে কলমে মৎস্য জীবিদের শেখানো হয়।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য দপ্তরের সচিব ডক্টর অভিলক্স লিখি, ন্যাশনাল ফিশারি ডেভলপমেন্ট বোর্ড হায়দ্রাবাদে চিফ অ্যাগজিকিউটিভ বিজয় কুমার বেহরা সহ মৎস্য দপ্তরে অন্যান্য আধিকারিকরা। আগামী দিনে এই ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে মৎস্য চাষকে আরো উন্নত করার কাজ ইতি মধ্যেই শুরু করেছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। আর এই গবেষণা কত দুর এগিয়েছে কতটা সফল হয়েছে সেটা নিয়ে এদিন ব্যারাকপুর ফিসারিজে গবেষকদের সাথে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মৎস্য দপ্তরের সচিব।
এদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সুন্দরবন সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি গ্রামের সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মহিলা মৎস্য জীবিরা ও বিহারের বেশ কয়েকজন মৎস্য চাষী এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আগামীতে এই দ্রোন কেনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মৎস্য চাষী দের আর্থিক অনুদান দেবার কথা ভাবনা চিন্তা করছে বলে জানালেন ন্যাশনাল ফিশারি ডেভলপমেন্ট বোর্ড হায়দ্রাবাদে
চিফ অ্যাগজিকিউটিভ বিজয় কুমার বেহরা ।