নদিয়া : সামনেই দূর্গা পুজো। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। জেলার পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম নদীয়ার ফুলিয়ার বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো। দীর্ঘ ৪০ বছরের অধিক মাতৃ আরাধনায় ব্রতী রয়েছেন বসাক পরিবার। নদীয়ার ফুলিয়ার পদ্মশ্রী বীরেন কুমার বসাকের বাড়ির পুজো দেখতে ভিড় জমান জেলা তথা রাজ্যের একাধিক মানুষ। প্রতি বছরই বসাক বাড়ির দূর্গা পুজোয় থাকে বিশেষ থিম এবং সামাজিক সচেতনতার বার্তা। এবারেও থিমের চমক রেখেছেন বসাক বাড়ির সদস্যরা। সাধারণত বিভিন্ন ক্লাব কিংবা বারোয়ারিতে থিমের চমক দেখা যায়।
তবে বাড়ির পুজোয় থিম এটা বিরল ঘটনা, তাই হাজারে হাজারে মানুষ আসেন বসাকবাড়ির পুজোয়। এবার পদ্মশ্রী বীরেন কুমার বসকের বাড়ির পুজোর থিম প্যারিশের আইফিল টাওয়ার। ১২০ ফুট উচ্চতার সুউচ্চ প্যান্ডেল ইতিমধ্যে শেষের পথে। দিন রাতে এক করে হচ্ছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। তবে বাঁশ, কাঠ এবং রঙের কাজ বেশি থাকবে এই প্যান্ডেলে, এমনটাই জানালেন প্যান্ডেলের বরাত পাওয়া শিল্পী উত্তম বিশ্বাস। তবে বসাক বাড়ির পুজোয় একটি ঠাকুর নয় প্রতি বছর ২ টি ঠাকুর আনা হয় পুজোয়। এটাই বিশেষত্ব পুজোর।
একটি মূর্তি পূজিত হয় যেটি একচালার প্রতিমা, ওপরটি থাকে থিমের উপর ভিত্তি করে মডেল হিসেবে। তাই দূরদুরন্তের মানুষ এসে ভিড় জমান এই পুজোয়। এ বিষয়ে বসাক বাড়ির পুত্র অভিনব বসাক জানান, এই দুটি মূর্তির মধ্যে একটি তৈরী করেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত মৃৎ শিল্পী সুবীর কুমার পাল এবং ওপরটি তৈরী করেন মৃৎশিল্পী কানাইলাল ঘোষ। দুটি মূর্তিই নিয়ে আশা হয় নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে। তবে বাড়ির পুজো সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, বসাক বাড়ির পুজো বৈষ্ণব মতে হয়। দেবীর ভোগের ব্যবস্থাও থাকে। তবে একাদশী পর্যন্ত ঠাকুর থাকে মণ্ডপে এরপর শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। তবে এই বছর মানুষ এর ভিড় বাড়বে বলেই আশাবাদী বসাক বাড়ির সদস্যরা। তাই এখন পুজোর জন্য দিনগুনছেন তারা।