মায়াপুর : মায়াপুর ইসকন মন্দিরে প্রথা অনুযায়ী সারম্বরে পালিত হলো রাধাষ্টমী মহোৎসব। গতকাল সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে রাধাষ্টমীর শুভ সূচনা হয়। এদিন ভোর থেকেই দর্শনারতি ও মঙ্গলারতি সহ হরিনাম সংকীর্তন মহাভিষেকের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। রাধা অষ্টমীতেও দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়েছিল ইসকনের চন্দ্রদয় মন্দিরে। ভোর থেকে শুরু হওয়া রাধাষ্টমী অনুষ্ঠান চলবে রাত নটা পর্যন্ত।
রাধাষ্টমীতে ও গোটা ইসকনকে সাজানো হয়েছে আলোক মালায়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর সাথে সাথে রাধাষ্টমী মহোৎসব ও পালিত হচ্ছে মায়াপুর ইসকনে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয় ভক্তদের কথা মাথায় রেখে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে ঠিক যেইভাবে যে প্রথা মেনে ইসকনের পালন করা হয় ঠিক একই রকম ভাবে রাধা অষ্টমীতে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এই দিনটি। এ বিষয়ে নবদ্বীপ মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, আমরা প্রতিবছরই রাধারানীর এই জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইসকনের এই দিনটি পালন করা হয়। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধারানী কোন অভিন্ন নয়। তারা একের মধ্যে দুই এবং দুইয়ের মধ্যে এক। তেতা যুগে রামচন্দ্র যেমন তার সঙ্গিনী সীতাকে নিয়ে এসেছিলেন, ঠিক তেমনই দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণ তার সঙ্গিনী রাধা রানীকে নিয়ে আবির্ভাব হয়েছেন।
রাধারানীর কৃষ্ণের প্রতি যে পবিত্র ভালোবাসা সেই ভালোবাসার ছোঁয়া যদি ভক্তরা বিন্দুমাত্র গ্রহণ করতে পারে তাহলে বিশ্বব্যাপী শান্তির বাতাবরণ ঘটবে। পাশাপাশি তিনি রাধারানী কে অনুসরণ করে বলেন মাতৃ শক্তি দেশে যেন আরো বৃদ্ধি পায়। আর মাতৃশক্তি বৃদ্ধি পেলে তবেই কলিযুগের ভক্তরা শান্তি লাভ করবে।