সোমনাথ ঘোষ,হুগলি : আরজি করের প্রতিবাদে পুজোর আলো বাতিল,আলোক শিল্পী বাবু পালের স্ত্রী মেয়ের সায় প্রতিবাদে!আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গা পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে একাধিক পুজো কমিটি,এবার চন্দননগরের আলোক সজ্জাও বাতিল হল।শিল্পীর স্ত্রী মেয়ে জানালেন অসুবিধা হবে তবে প্রতিবাদও প্রয়োজন।
দুর্গা পুজো মানেই থিমের মন্ডপ আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোক সজ্জা।আলো অবশ্যই চন্দননগরের।দুর্গা পুজোর জন্য সারা বছর ধরে কাজ করেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা।নানা থিম চাহিদা অনুযায়ী আলোকসজ্জা তৈরিতে দিনরাত এক করে দেন তাঁরা।এবারও দুর্গাপুজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই।৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ জনমানসে তীব্র প্রতিক্রিয়া শারদ উৎসবের প্রস্তুতি ফিকে করে দিয়েছে।
বর্বরোচিত এই ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকের সুবিচার চেয়ে অনেক দুর্গাপুজোর বারোয়ারই সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।ঘটনার একমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে।এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফেরার কথা বলেছেন যা নিয়ে নানা মহল থেকে কটাক্ষ হয়েছে।তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো হবে।
সেই পুজো অনেকে নমো নমো সারতে চাইছেন।ফলে পুজোর বাজেটে কাটছাঁট হচ্ছে।আর তাতেই কোপ পরেছে আলোয়।
চন্দননগরের আলোক শিল্পী বাবু পাল প্রয়াত হয়েছেন ২০ আগস্ট।তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে সেই ব্যবসা সামলাচ্ছেন।স্ত্রী চিত্রলেখা ও মেয়ে সুচেতা পাল জানিয়েছেন,শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ শিক্ষা ব্যায়াম সংঘ অগ্রিম দিয়েও আলো নেবেনা বলে জানিয়েছে আর জি করের ঘটনায় তাদের পুজো ছোটো করে করবে বলে।চার লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল।সেই আলো গুদামেই পরে থাকবে।নতুন করে আর সময় নেই বয়না হওয়ার।
আরো কয়েক জন শিল্পীর আলো বাতিল হয়েছে।পুজোর আলো বাতিল হলে তার প্রভাব তো পরবেই।তবে প্রতিবাদও হওয়া দরকার মনে করেন মা মেয়ে দুজনেই।সুচেতা বলেন,যে ক্ষতিটা হলো সেটা হয়তো অন্য কাজ দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।কিন্তু যে কারণে বাতিল হয়েছে আলোর চুক্তি সেটা সঙ্গত।আমিও একটা মেয়ে তাই মনে করি নিরাপত্তার জন্য এই প্রতিবাদটা প্রয়োজন।