শিলিগুড়ি: শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটি সপ্তাহ। দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গোৎসব।যার জেরে কুমোরটুলিতে দেখা যাচ্ছে ব্যস্ততার চেনা ছবি। কোথাও রঙের প্রলেপ পড়ছে,তো কোথাও আবার প্রতিমার গায়ে মাটি। সঙ্গে প্রতিমা তৈরীর আঁতুড়ঘর কুমোরটুলির, শিল্পীদের ব্যস্ততাও তুলে ধরছি আজ আমরা বিগ নিউজে।
পুজো আসছে, চিরাচরিত ব্যস্ততার ছবি এবারেও শিলিগুড়ি কুমোরটুলিতে।কারন পুজো এবং কুমোরটুলি সর্বদাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও এখন শিলিগুড়ি শহরের আরও বেশ কিছু জায়গায় মূর্তি তৈরি হয় ঠিকই, তবুও কুমোরটুলি ম্যাজিক কিন্তু আজও অক্ষুণ্ণ। পুজোর মাস কয়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় কুমোরপাড়ায় ব্যস্ততা, যদিও এবছরও ব্যতিক্রম নয়। পুজো এবং কুমোরটুলি, দুইই বাঙালির জীবনের সঙ্গে মিশে আছে বহুযুগ ধরে। বংশ পরম্পরায় বাংলার কুমোররা কুমোরটুলিতেই দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করে আসছেন। দুর্গা পুজোর মাস কয়েক আগেই শুরু হয়ে যায় তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। প্রতিমার জন্য কাদামাটি সংগ্রহ থেকে সাজসজ্জা, প্রতিটি কাজই তারা করেন প্রথা মেনে।
ইতিমধ্যেই বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে বানানো হচ্ছে কাঠামো, যার সঙ্গে শন, খড় বা পাটের দড়ি বেঁধে প্রতিমার অবয়ব তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। এই শিলিগুড়ি কুমোরটুলির প্রতিটি গলিতেই রয়েছে ঠাকুর তৈরির ঘর। যার জেরে এই ঘরগুলোতেই সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে মা দুর্গার মূর্তি।আর কুমোরদের এই পাড়ায় ঢুকলেই যেন পাওয়া যায় ভেজা মাটির গন্ধ। চোখে পড়ল মা দুর্গার মূর্তি তৈরির জন্য পড়ে থাকা মাটিও।
তা দিয়েই খড়ের উপর প্রলেপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মা দুর্গার মূর্তি। এবং এই মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করেন যারা অর্থাৎ মৃন্ময়ী মা কে চিন্ময়ী রূপ প্রদান করেন যে সকল কর্মঠ মৃৎশিল্পীরা কেমন রয়েছেন তারা? এত সুন্দর সুন্দর মা দুর্গার মূর্তি তৈরির পিছে যে সকল মৃৎশিল্পীরা রয়েছেন তাদের খোঁজ আদেও কি রাখেন কেউ? বংশ পরম্পরায় ভালোবেসে মূর্তি বানিয়ে চলা মৃৎশিল্পীদের নিজস্ব জীবন কাহিনী নিয়ে কি অভিজ্ঞতা রয়েছে? আসুন শুনে নি তাহলে তাদের কথা তাদের মুখেই।