বনগাঁ: ইচ্ছে ছিল জমির ফসল বিক্রি করে পুজোর কেনাকাটা করবেন, পুজোর আনন্দে পরিবারের সকলকে নিয়ে মেতে উঠবেন, কিন্তু টানা বৃষ্টি সেই আনন্দে বাঁধ সাজলো। টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেল ফসল, মন খারাপ করে তাই বসে রয়েছেন চাষিরা। তারা বলছেন টানা বৃষ্টিতে সর্বস্ব শেষ হয়ে গেল, সরকার যদি কিছু সাহায্য করে তাহলে হয়তো একটু ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। এই বিষয়ে আনসার মন্ডল নামে একজন চাষী বলেন, “টানা বৃষ্টিতে সর্বস্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সবজির গাছ নষ্ট তো হয়েছে, ধানের জমিতেও বিরাট ক্ষতি হয়েছে। পুজোর মুখে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। পুজোর আগে বিক্রি করার মত ফসল গাছে নেই।”
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের বাকি রয়েছে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আর কিছুদিন পরেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে উৎসব প্রিয় বাঙালি। তবে এবারের পূজোয় হয়তো আনন্দ করা হবে না কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষদের। তাদের এবার ভীষণ মন খারাপ। টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ফসল, বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরা। চাষীরা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিতে চাষের জমি জলমগ্ন অবস্থায় ছিল দু থেকে তিন দিন। গাছের গোড়ায় জল জমে থাকায় ইতিমধ্যেই গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। বেগুন, পটল, উচ্ছে, কুদরী সহ বিভিন্ন গাছ ঢলে পড়েছে। এ বিষয়ে সিকান্দার মন্ডল নামে এক চাষী বলেন, “বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে। উচ্ছে, বেগুন, পটল সহ বিভিন্ন ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে।”
চাষীরা জানাচ্ছেন কয়েকদিন জমির ফসল জলের তলায় থাকায় এখন আস্তে আস্তে জমির ফসল ঢলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র জমির ফসল দেয় ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষেও। লাগাতার বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে শত শত মাছের ভেড়ি। ফলে মাছ চাষিরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এই বিষয়ে সমর বিশ্বাস নামে একজন চাষী বলেন, “বিশেষ করে পটল বেগুন উচ্ছে গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। মাছের ভেরী ভেসে গেছে ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকার যদি কিছু সাহায্য করে তাহলে পিঠ বাঁচবে।”