নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া : ভগ্ন প্রায় স্কুলে ছাদ ফেটে ক্লাসের মাঝেই শ্রেণিকক্ষ থেকে বৃষ্টির জল ঝেঁটিয়ে বার করছে পড়ুয়ারা, শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই দেওয়াল ফেটে বেরিয়েছে গাছের শিক, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা ।
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার চর গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে রয়েছে দুটি শ্রেণিকক্ষ একটি পুরাতন বিল্ডিং অন্যটি নতুন বিল্ডিং। নতুন বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় 14-15 বছর আগে। অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন বিল্ডিং এর ছাদ ও দেওয়াল ফেটে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই ভাঙ্গা বিদ্যালয় চলছে লেখাপড়া। বৃষ্টির সময় ছাদের ও দেয়ালের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জল থৈথৈ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঝাড়ু মেরে জল বার করতে হয় ক্লাস রুম থেকে। ছাত্রদের ক্লাস রুম থেকে ঝেঁটিয়ে জল বার করার ছবি উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায়। ক্লাস রুমের ভেতর থেকে ফাটা দেওয়ালে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে গাছের মোটা শিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। আতঙ্কে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
ছাত্রছাত্রীরা জানাচ্ছেন স্কুলে ক্লাস করতে ভয় হয়। স্কুলের ছাদ ভেঙ্গে যখন তখন মাথায় উঠতে পারে। বৃষ্টির সময় জল পড়ে। সরকার স্কুলটি মেরামত করে দিক।অভিভাবকরা জানিয়েছেন স্কুলে ছেলেমেয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে সময় কাটাতে হয় তাদের। শিক্ষকদের বলেও কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানাচ্ছেন পরিকল্পনা বিহীনভাবে এই শ্রেণীকক্ষ তৈরি করা হয়েছিল তৎকালীন সময়। এমনকি পরিকল্পনা বিহীনভাবে একটি ছাদের উপর আরেকটি ছাদকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে ই বাস্তব এই আতঙ্কের মধ্যে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন করাতে হয়। এমনকি বৃষ্টি হলে অনেক অনেক অভিভাবক নিজেদের সন্তানদের নিয়ে চলে যান বিদ্যালয় থেকে। বৃষ্টির সময় শ্রেণীকক্ষে জলে ভর্তি হয়ে যায় তখন বাধ্য হয়েই ছাত্রদের দিয়ে জল বার করতে হয়। তিনি আরো জানান বিষয়টি ঊর্ধাতন কর্তৃপক্ষকে বারংবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন বিদ্যালয় মেরামত করা হবে কিন্তু আজও তা তৈরি হয়নি।