কোচবিহার : দিনহাটার যোগেশ চন্দ্র সাহা হাইস্কুলে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সেমিস্টার পরীক্ষার তৃতীয় দিন সোমবার প্রায় ৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় অভিযোগে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখায় স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, পরীক্ষায় বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। গত দু’দিন আগে পরীক্ষা শুরু হলে এরা পরীক্ষা দেয়নি। মোট ৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এবার যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে। এদের মধ্যে ৫-৬ জনের স্কুলে আসে না বললেই চলে। এমনকি পরীক্ষা শুরু হলেও তারা প্রথম দু’দিন পরীক্ষায় দিতে আসেনি। সর্বসাকুল্যে হাজিরা তাদের ২৫ শতাংশের মত। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী অ্যাটেনডেন্স কম থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারবেনা। এদিকে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কয়জনের উপস্থিতি কম রয়েছে তাদের মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত আসেনি।
স্কুলের পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের দেবজিৎ চক্রবর্তী, অর্পিতা মহন্ত জানিয়েছে, আমরা যতটা সম্ভব স্কুলে এসেছি। অথচ আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। কেন পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না সেটা আমরা জানতে চেয়েছি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।
অভিভাবকদের রিতা চক্রবর্তী, শেফালী মহন্ত জানিয়েছে, আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে সেমিস্টার পরীক্ষায় বসতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তারা। স্কুলের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে আমরা জানাব।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুপা দেব জানিয়েছে, সামেটিভ পরীক্ষাও কয়েকজন ছাত্রছাত্রী এর আগে দিতে আসেনি। এদের স্কুলে হাজিরাও খুবই কম। তাদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করেছি। অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে এসে তাদেরকে অনেকবার বুঝিয়েছিস স্কুলে পাঠানোর জন্য ছেলেমেয়েদেরকে। তারপরেও কয়েকজন স্কুলে নিয়মিত আসত না। এমনকি সামেটিভ পরীক্ষাও দিতে আসেনি। প্রথম দুইদিন পরীক্ষা দিতে না এলেও তৃতীয় দিন পরীক্ষা দিতে এসেছিল। তবে তাদেরকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার যে অভিযোগ সেটা ঠিক নয়।আর বোর্ডের নিয়ম রয়েছে ৭৫ শতাংশের উপরে উপস্থিতি না থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। যারা অভিযোগ তুলেছে তাদের ৩০ শতাংশের নিচে উপস্থিতির হার।