দুর্গাপুর : টুমনি নদী গ্রাস করে নিচ্ছে বাঁধ! কৃষি জমি আর এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কায় চাষিরা। ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রশাসনের। সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর আর অজয়পল্লীর পাশ হয়ে টুমনী নদী বয়ে গিয়ে মিশেছে বনকাটির গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশ হয়ে বয়ে চলা অজয় নদে। সম্প্রতি টানা নিম্নচাপের জেরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল টুমনি নদী। প্লাবিত হয়েছিল কয়েকশো বিঘা বেগুন, পটল, উচ্ছে, শাক সহ কুড়ি রকম সবজি আর ধান চাষের জমি। বাঁধের মাটিও ধুয়ে চলে যেতে শুরু করেছিল টুমনির জলে।
বৃষ্টি কমায় টুমনি নদীর জলও কিছুটা কমে যায়। তারপরেই বোঝা যায় ভাঙন কতটা ভয়ঙ্কর হয়েছে। ফের আবারো নিম্নচাপের জেরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ধীরে ধীরে ফের জল বাড়ছে টুমনিতে। টানা বৃষ্টি চলতে থাকলে আবার আগের ছন্দে এই নদী ভয়াল রূপ নিলে নদী বাঁধ ভেঙে সর্বশান্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চাষীরা। পাথর দিয়ে নদী বাঁধ মেরামতের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এলাকার চাষি মধুসূদন ঘোষ আর দিলীপ বিশ্বাস বলেন,”কিছুদিন আগে টুমনি নদীর রুদ্ররূপে এলাকার কয়েকশ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার নদীর বাঁধই ভাঙতে শুরু করেছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে কয়েক হাজার বিঘা জমি প্লাবিত হয়ে যাবে। আমাদের মত চাষের উপর নির্ভরশীল মানুষদের পথে বসতে হবে।
একাধিক গ্রামও প্লাবিত হয়ে যাবে। দ্রুত এই বাঁধ পাথর দিয়ে মেরামত করা না হলে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।”সেচ দপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নবকুমার সামন্ত বলেন,”চাষীদের যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেদিকে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতিও তৎপরতার সাথে কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। আমরা এই সমস্যার কথা শুনেছি। সেচ দপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা করবো।” বর্তমান সদরের বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন,”এটাই তো বাংলার পরিস্থিতি। চাষিরা বিপদের মুখে রয়েছে সেটা দেখার নাম নেই। যেখানে কাটমানি যেখানে টাকার ভাগ পাওয়া যায় সেখানেই শুধু দেখা যায় এই সরকার আর তৃণমূল নেতাদের।