হুগলি : মাটির বা ধাতুর মূর্তি না পটে আর ঘটেই দশ ভূজার আরাধনা হয় পালবাড়িতে।চুঁচুড়ায় হুগলি নদীর তীরবর্তী পাল বাড়িতে কূল দেবতা রাধা মদন গোপালের অষ্টধাতুর মূর্তি আছে।তার নিত্য পুজো হয়।
পাল বাড়িতে এক সময় চটের তৈরি পট চিত্রে দুর্গার আরাধনা হতো। কালের নিয়মে প্রায় ৪০০ বছর প্রাচীন পট চিত্র নষ্ট হয়ে যায়। দেড় দশক আগে চটের পটের জায়গায় বসেছে ফ্লেক্স। চন্দননগরের একজন চিত্রশিল্পীর হাতে আঁকা পটে বর্তমানে পূজা হয়।দুর্গা ছাড়াও বিভিন্ন দেব দেবীর ছবি তাতে ঠাঁই পেয়েছে।জগদ্ধাত্রী ও কার্তীক ছাড়া নিয়ম মেনে সব পূজই হয় পালবাড়ির ঠাকুরদালানে। তবে দুর্গাপুজোর সময় বাড়ির গর্ভগৃহ থেকে অষ্টধাতুর কুল দেবতাকে দালানে নিয়ে আসা হয়।
পালবাড়ীর বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা জানান তাদের পূর্বসূরি সেবকরামকে একজন কুল দেবতার মূর্তি দান করেছিলেন। অনটনে থাকা সেবক রাম সেই মূর্তির সেবা করতে না পেরে সিন্দুকে বন্দী করে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে কুল দেবতার স্বপ্নাদেশে দশভূজার পটে ঘটে পুজো শুরু করেন।এরপরই বাড়তে থাকে সেবক রামের প্রতিপত্তি। হুগলী নদীর তীরবর্তি এলাকায় বিস্তর জায়গা ছিল পালেদের।এখনো তার কিছু অবশিষ্ট আছে। পুজোর আয়োজনে সব শরিকরা জড়ো হন চলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া। প্রতিদিন ভোগ নিবেদন করেন বাড়ির মহিলারা।নৈবেদ্য দেন বাড়ির পুরুষরা।যোগারে থাকেন পরিবারের মেয়ে ও বউ রা।দশমীতে দেবীকে বরণ করে বাড়ির ছেলেরা।
মূর্তি নেই তাই ঘটে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়।চাল কুমরো নিবেদন করা হয় বলিদান হয় না।সন্ধি পুজো থেকে পুজোর সব রীতি মেনে বৈদিক মতে হয়।