কোচবিহার: কোচবিহারে নিশীথ হারেনি, তাকে হারিয়েছে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা”। মাথাভাঙায় বিজেপির ধিক্কার মিছিলে অংশ নেওয়ার পর এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মাথাভাঙ্গায় আক্রমণের ঘটনায় প্রতিবাদে মঙ্গলবার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় বিজেপির ধিক্কার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
‘সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, আমাদের নিরিখে এখনো সাংসদ রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। নিশীথ প্রামানিক এর পরাজয় হয়নি। কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনার চক্রান্তে তাকে হারানো হয়েছে। কোচবিহার থেকে এক গাড়ি ইভিএম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদে। যে কারণে পরাজয় হয়েছে বিজেপির।’ তিনি বলেন চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে বিজেপিকে। মাথাভাঙায় চৌঠা সেপ্টেম্বর শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর তৃণমূলের হার্মাদদের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয় ।
এখানে অংশ নেয় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মালতি রাভা রায়, নিখিল রঞ্জন দে, সুশীল কুমার বর্মন, বরেন বর্মন সহ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব। পচাগর মোড় থেকে মিছিল করে মাথাভাঙ্গা চৌপতিতে সভা করেন শুভেন্দু। এখানেই এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তাই নয়, আরজিকরের ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে রাজ্যকে তুলোধোনা করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশের উপর থেকে সাধারণ মানুষের ভরসা উঠে যাচ্ছে।
সুতরাং সাধারণ মানুষ নিজের বিচার নিজের অধিকার নিজের পাওনা এবং সুবিচার নিজেরাই দাবি করে আসছেন। একইসঙ্গে কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপারকেও চটি চাটা বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। বিভিন্ন ভাষায় পুলিশকে আক্রমণ করতে কোনরকম খামতি রাখেননি শুভেন্দু। সেইসঙ্গে মাথাভাঙ্গার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং মাথাভাঙার পৌরসভার পৌর প্রধানকেও আক্রমণ করেন তিনি। চৌঠা সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। সাধারণ মানুষকে একজোট করে লড়াইয়ের আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার আহ্বান জানান শুভেন্দু।
যদিও বা তার পরিপ্রেক্ষিতে মাথাভাঙা পৌরসভার পৌর প্রধান লক্ষপতি প্রামাণিক মন্তব্য করে বলেন, শান্ত মাথাভাঙ্গা কে অশান্ত করার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু আগমন। আপনার যদি আন্দোলন করার ইচ্ছা থাকে তাহলে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে যান। মাথাভাঙায় কেন? সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত চক্রান্ত। সাধারণ মানুষকে ভুল পথে চালিত করার ষড়যন্ত্র মাত্র।