নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া : বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় একটি খাল দিয়ে এক হাঁটু জলের ওপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্কুলের খুদে শিশুরা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা, এলাকার উন্নয়ন নিয়ে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি একে অপরের দিকে দোষ দিতেই ব্যস্ত ।
বাঁকুড়া জেলা সোনামুখী ব্লকের বিজেপি পরিচালিত মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দক্ষিণশোল গ্রামে রয়েছে রায় পাড়া ও আদিবাসী পাড়া। দুটি পারায় মোট ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবারের বসবাস। গ্রামের অপরদিকে রয়েছে শুকাশোল গ্রাম । এই গ্রাম দুটির মাঝ বরাবর বয়ে গেছে স্থানীয় একটি খাল। গ্রামের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রী দের স্কুল, গ্রামের মানুষদের গ্রাম পঞ্চায়েত, হাটবাজারে এবং এলাকার মুমূর্ষ রোগীদের
বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী হাসপাতাল যেতে গেলে খালের ওপর এক হাঁটু জল পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। বর্ষার সময় এই খাল রুদ্ররূপ ধারণ করে তখন পারাপার করা সম্ভব হয় না। বিকল্প পথ রয়েছে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার ঘুরপথ। ১৫-২০ বছর পূর্বে এই খালের ওপর একটি কাঠের সেতু ছিল বন্যার জলে সেটিও ভেঙে যাওয়ার পর আর প্রশাসন মুখ ফিরে তাকায়নি এই অসহায় মানুষগুলির দিকে। বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও এলাকায় যাতায়াতের সমস্যার সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ছোট ছোট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের একটাই দাবি খালের উপর একটি কংক্রিটের সেতু করুক সরকার। তাদের এই চরম সমস্যা থেকে মুক্তি দিক প্রশাসন।
এলাকার মানুষের এই পারাপারের সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত। স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শাশ্বতী ঘোষ জানান এলাকায় সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা সবেমাত্র দু’বছর পঞ্চায়েত পেয়েছি। এলাকায় উন্নয়ন করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় হচ্ছে না। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনই গুরুত্ব দিচ্ছে না। তার আরো দাবী তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় জেলা পরিষদের ক্ষমতায় পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় তারা কি করছে?
অন্যদিকে সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ওই এলাকার সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে কোন সমস্যার অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত কোন অবগত করেনি। তিনি জানান বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত উন্নয়নের টাকা খরচা করতে পারছে না। বাঁকুড়া জেলায় ১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সবথেকে কম খরচা করেছে এই গ্রাম পঞ্চায়েত। উন্নয়নের টাকা খরচা করতে না পারায় এলাকায় উন্নয়ন হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েত কাজ করছে না। তবে ওই এলাকার সমস্যার সমাধান হবে পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে।