ত্রিপুরা,বিক্রম কর্মকার:-মা আসছে আগমনের বার্তা নিয়ে কাশফুলের দোলা! ভাদ্র, আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। বাংলা ছয়টি ঋতুর মধ্যে শরৎ একটি অন্যতম ঋতু। শরৎ ঋতুতে আকাশের ঘনঘটা কালো মেঘ সরে নীল স্বচ্ছ আকাশ সূর্যের কিরণে ঝলমল করে । এযেন শরৎ ঋতুর এক অপূর্ব দৃশ্য । শরৎ ঋতু মানে শারদীয়ার আগমনীবার্তা আকাশে বাতাসে। শরতের মৃদুমন্দ বাতাস কাশবনে কাশফুলের দোলার দৃশ্য চারদিকে ফুটে উঠে।
তবে, শরৎকালে কাশবনের কাশফুল ফোটার সাথে সাথেই শারদীয়ার আগাম বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। কেমন যেন পুজো পুজো ভাব । চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ । কেননা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রধান উৎসবই হলো শারদীয়া দুর্গোৎসব । উৎসব মানেই অফুরন্ত আনন্দ । এই শরৎ ঋতুতে কাশবনে কাশফুলের পাশাপাশি শিউলি ফুল সহ রকমারির ফুলের সৌরভ মুখরিত হয়ে উঠে।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, ত্রিপুরার বিশিষ্ট নাট্যকার তথা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনোরঞ্জন গোপ বলেন, শরৎ ঋতুতে মানুষজন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে। শরৎ এলেই কাশফুলের দোলা যেন জানান দেয় মেনকার প্রাণপ্রিয় উমা দীর্ঘ এক বছর পর পুনরায় পিতৃগৃহে আসছেন। ফলে একদিকে প্রকৃতি এবং অন্যদিকে মানুষজন সাজো সাজো রবে মেতে উঠে দেবী দুর্গার বন্দনায়।